প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার দেশে গৃহহীন থাকবেনা কোন পরিবার “মুজিববর্ষে দেশে কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না”- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই অঙ্গিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশব্যাপী ১ম পর্যায়ে ‘ক’ শ্রেণির প্রায় ৭০,০০০ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান করা হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ২৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে ভূমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে এবং পটুয়াখালী জেলায় ঘর নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি অবহিত করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আজ মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দের সম্মুখে পটুয়াখালী জেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কার্যক্রমের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। পটুয়াখালী জেলার ০৮ টি উপজেলায় দুই পর্যায়ে সরকার ২,১৩১ টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করে ( ১ম পর্যায়ে ১,৩৩৮ টি, ২য় পর্যায়ে ৭৯৩ টি)। প্রতিটি ঘরের মূল্য ১,৭১,০০০ (এক লক্ষ একাত্তর হাজার) টাকা হারে মােট ৩৬,৪৪,০১,০০০ (ছত্রিশ কোটি চুয়াল্লিশ লক্ষ এক হাজার) টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
এর সাথে প্রতিটি গৃহের বিপরীতে কেরিং ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ অতিরিক্ত আরাে ৪,০০০ (চার হাজার) টাকা করে মােট ৮৫,২৪,০০০ (পঁচাশি লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৩ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলায় ২১৩১ টি ঘরের মধ্যে ৭২৯ টি ঘর সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০ টি, মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ৩২ টি, দুমকী উপজেলায় ১৯৫ টি, বাউফল উপজেলায় ১০ টি, দশমিনা উপজেলায় ৪৭ টি, গলাচিপা উপজেলায় ১০ টি, কলাপাড়া উপজেলায় ২৩৫ টি এবং রাঙ্গাবালী উপজেলায় ১৫০ টি। প্রতিটি বাড়ি দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনে উন্নতমানের সরঞ্জামে তৈরি।
সেমিপাকা প্রতিটি গৃহ ০২ টি বেডরুম, ০১ টি রান্নাঘর, ০১ টি বাথরুম এবং বারান্দা রয়েছে। ঘরের উপরে রয়েছে উন্নতমানের রঙিন টিন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হবে। ৬৪ জেলার সকল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রান্ত গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থাকবেন বলে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের অবহিত করেন